নিজস্ব প্রতিনিধি:পশ্চিমাঞ্চল রেলে আ'লীগ পন্থী অফিসার ও শ্রমিকলীগ শীর্ষ নেতা, আ'লীগের পদধারী ঠিকাদাররা বহালতবিয়ত এখনো কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। সম্প্রতি আ'লীগের ক্যাডার হাইটেকের প্রোপাইটর নওফেলের সঙ্গে ৪ কোটি টাকার কাজের চুক্তি সম্পাদিত হয়েছে। পূর্বের দেওয়া আ'লীগ ঠিকাদারদের কাজের কোনো অগ্রগতি না থাকলেও বিল প্রদান করা হচ্ছে কমিশনে৷ আশরাফ বাবু নামের এক ঠিকাদারকে কাজের অগ্রগতি'র প্রয়োজনীয় কাগজ ছাড়াই বিল প্রদান করা হয়েছে। এখনো আ'লীগের ঠিকাদার পান্না, আফসার বিশ্বাস, আশরাফ বাবু'র পূর্বের কোটি কোটি টাকার কাজের কোনো অগ্রগতি নাই৷ অভিযোগ উঠেছে এসব কাজে কমিশন বানিজ্য, নিম্নমানের কাজসহ নানা অনিয়ম দূর্নীতি সাথে পশ্চিম রেলের প্রধান প্রকৌশলী আসাদুল হক ও ডিএনটু বীরবল মন্ডল সরাসরি জড়িত।
এখন তাঁরা নতুনপন্থা অবলম্বন করে আগের ন্যায় অনিয়ম দূর্নীতি চলমান রেখেছে। বিএনপির বিতর্কিত কিছু নেতার ছত্রছায়ায় এলটিএমের মাধ্যমে আক্তার হোসেনকে কাজ দেওয়া হয়েছে। আ'লীগের আমলে এসব অফিসার ও শ্রমিকলীগের শীর্ষ নেতারা ঠিকাদারি কাজসহ নিয়োগ ব্যাণিজ্যে ব্যাপক অনিয়ম দূর্নীতি করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।
রাজশাহী পশ্চিম রেলের প্রধান প্রকৌশলী ও সাবেক জিএম অসীম কুমার তালুকদারসহ প্রায় অর্ধশত কর্মকর্তা কর্মচারীর বিরুদ্ধে কোটি কোটি টাকা লোপাটের অভিযোগে সংবাদ প্রকাশ হলেও ক্ষমতাসীন দলের প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় তাঁদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি আ'লীগ সরকার। ইঞ্জিনিয়ারিং এই বিভাগের ইএন, ডিএনটু থেকে প্রধান প্রকৌশলী পর্যন্ত আ'লীগের দলীয় সুপারিশ অনুযায়ী পদ বা বদলী হয়। এরা এখনো বহাল থাকায় আ'লীগের ঠিকাদাররা তাঁদের সেই লুটপাটের বিল উত্তোলনসহ নতুনভাবে কাজও পেয়ে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ করছেন বিএনপির আমলে বঞ্চিত ঠিকাদাররা।
৫ আগস্টের পর অর্থের বিনিময়ে বিএনপির কিছু বহিষ্কৃত নেতার ছত্রছায়ায় আছেন এরা। পশ্চিমাঞ্চল রেলের শ্রমিকলীগ নেতা আইনুল, রিদয়, ইকবাল, আশরাফ, মামুন, আনোয়ার, সাদেকুলসহ অর্ধ শত নেতা ৫ আগস্ট বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আনন্দোলন দমনে সরাসরি মাঠে থাকলেও তাঁদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। শুধুমাত্র কিছু সংখ্যক নেতার বদলী করা হয়েছে। অর্থের বিনিময়ে ইতোমধ্যে বিএনপির অনেক প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতাকে ম্যানেজ করেছেন তাঁরা। আ'লীগ পন্থী সিসিএম, সিওপিএস, সিএমও, সিওএসরা এতোদিন আ'লীগের হয়ে সকল কাজকর্ম তাঁদের দিলেও বর্তমানে প্রেক্ষাপট পরিবর্তনে তাঁরা বিএনপি'র লোকজনকে কাজ দিচ্ছেন।
আ'লীগ সরকার আশীর্বাদে সাবেক জিএম অসীম কুমার তালুকদারসহ এসব কর্মকর্তা ভারতসহ বিভিন্ন দেশে প্রায় হাজার কোটি টাকা পাচার করেছেন বলে বিভিন্ন সংবাদসুত্রসহ রেলের কিছু কর্মকর্তা নিশ্চিত করেছেন। পশ্চিম রেলে কর্মরত ১৩ জন চীফ তাঁদের অধীনস্থ কর্মকর্তারা এ তালিকায় আছেন। জীএম অসীম কুমার তালুকদারের অনুসারীরা এখনো বহাল। রেল শ্রমিক লীগের আক্তার আলী, আইনুল, মেহেদী হাসান, ইকবাল, দেব্রত সিনহা দেবু, সিএমও অফিসের আশরাফ, আনোয়ার, সাদেকুল, হিসাব শাখার জসিম, সিওএস অফিসের রিদয়, সিপিও অফিসের ফরাদ মজুমদার, আরএনবি'র ইকবাল, হাবিবুর রহমান হবি, মহসিন, জহুরুল ইসলাম, মামুন, সুমনসহ প্রায় শতাধিক নেতারা পশ্চিমাঞ্চল রেলে আ'লীগের হয়ে কোটি কোটি টাকা আয় করেছেন।
৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আনন্দোলন দমনে এসকল কর্মকর্তা ও কর্মচারী এবং শ্রমিকলীগ নেতাদের প্রত্যাক্ষ ও পরোক্ষ মদদ ছিলো। কালো টাকায় মাদক আসক্ত সন্ত্রাসী বাহিনী দ্বারা এরা ছাত্র দমনে ভুমিকা রেখেছিলো। বর্তমানে পশ্চিমাঞ্চল রেলের জিএম হয়ে এসেছেন আরেক বিতর্কিত দূর্নীতিবাজ কর্মকর্তা। তিনিও আ'লীগ পন্থী সাবেক ডিজি আমজাদ হোসেনের জামাই। এছাড়াও সে সাইফুজ্জামান শিখরের লোক বলেই সবাই জানে।
পশ্চিমাঞ্চল রেলের বর্তমান মহাব্যবস্থাপক (জিএম) মামুনুল ইসলাম,চীফ কমার্শিয়াল ম্যানেজার (সিসিএম) অজিত কুমার বিশ্বাস, সিওএস রাসেদ ইবনে আকবর, সিএমও, চীফ কমাণ্ড্যান্ট আসাবুল হকসহ সকলেই আ'লীগের দোসর। তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম দূর্নীতির অভিযোগ। নতুনভাবে কতিপয় বিএনপি পন্থী নেতাদের ঠিকাদারি কাজ দিয়ে তাঁরা তাঁদের আগের ন্যায় দূর্নীতি চালিয়ে যাচ্ছেন।
এসব বিষয়ে জানতে জিএম মামুনুল ইসলাম,চীফ ইঞ্জিনিয়ার আসাদুল হককে সরকারি মোবাইল নম্বরে একাধিকবার ফোন দিয়ে পাওয়া যায়নি৷ তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ডিএনটু বীরবল মন্ডল।
সম্পাদক: মোস্তাফিজুর রহমান।
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ৪৫, শিরোইল পুবালি মার্কেট,(২ তলা) ,বোয়ালিয়া ,রাজশাহী।
ফোন নাম্বার- 01713846301
ইমেইল: agrajatrajibon@gmail.com
Copyright © 2025 Dainik Uttarbanga. All rights reserved.