নিজস্ব প্রতিনিধি:৫ আগস্ট ফ্যাসিবাদের পতনের পরও আজ অবদি বিভিন্ন দপ্তরে তাঁদের দোসরা এখনো রয়েছেন বহালতবিয়তে। বিভিন্ন সময়ে তাঁদের বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের সংবাদ প্রকাশ হলেও আ'লীগ পন্থী প্রকৌশলী হওয়ায় তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়নি তৎকালীন সরকার। পশ্চিমাঞ্চল রেলের প্রধান প্রকৌশলী,সরঞ্জাম নিয়ন্ত্রক,সিসিএম,সিওপিএসসহ অনেকের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম ও দূর্নীতির পাহাড় পরিমান অভিযোগে সংবাদ প্রকাশ হলেও তাঁরা এখনো স্বপদে বহাল আছেন। আওয়ামী লীগ পন্থী প্রকৌশলী আসাদুল হক তাঁর দলীয় ও সাবেক রেল মন্ত্রীর আত্মীয় স্বজনদের ঠিকাদার মারফত শত কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন বলেও সংবাদ প্রকাশ হয়েছে। সম্প্রতি কিছু সুবিধাবাদী ছত্রছায়ায় পূর্বের ন্যায় কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। সুবিধাবাদী কিছু দলীয় পদে না থাকা বিএনপি'র পরিচয়ে তাঁর নিকট কাজ পেতে মরিয়া হয়ে তাঁকে সহযোগিতা করছেন। এমন ঘটনা পুরো রেল অঙ্গনে।
তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আ'লীগ ছাড়া ভিন্ন মতাদর্শে কোনো ঠিকাদারকে তাঁরা রাজশাহী রেলওয়ে ভবনে ঢুকতে দেননি। পশ্চিম রেলের সকল কাজই করেছেন আ'লীগ পন্থী ঠিকাদাররা। নিম্নমানের কাজ ও কমিশন বানিজ্য করে ঠিকাদার ও প্রকৌশলী হাতিয়ে নিছেন কোটি কোটি টাকা। ইজিপি'র নামে কোটেশন বানিজ্যের মূলহোতা প্রধান প্রকৌশলী ও সরঞ্জাম নিয়ন্ত্রক।
পশ্চিম রেলের নির্বাহী প্রকৌশলী আসাদুল হক ও সরঞ্জাম নিয়ন্ত্রক এ পর্যন্ত যত কাজ করেছেন তাঁর থেকে ২০% কমিশন নিয়েছেন বলে অভিযোগ খোদ ঠিকাদারদের। পদে পদে কমিশন দেওয়ায় হয়েছে নিম্নমানের কাজ,চলেছে লুটপাট। প্রতিটি কাজে ২০% কমিশন নিয়ে ইতোমধ্যে শত কোটি টাকা মালিক হয়েছেন তাঁরা। তাঁদের বিরুদ্ধে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া আহ্বান করেছেন বঞ্চিত অনেক ঠিকাদার।
নাম প্রকাশ না করা শর্তে কিছু ঠিকাদার বলেন,বর্তমানে এসব দূর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের দ্রুত এসব দ্বায়িত্ব থেকে অপসারণ করা উচিত। সেই সাথে এদের সম্পত্তির তদন্ত হওয়া দরকার।
ফোন দিলে ফোন রিসিভ করেনি সরঞ্জাম নিয়ন্ত্রক। তবে প্রধান প্রকৌশলী আসাদুল হক জানান,দূর্নীতির অভিযোগ সঠিক নয়। সঠিক তথ্য জানতে চাইলে অফিসে ডাকেন তিনি।
সম্পাদক: মোস্তাফিজুর রহমান।
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ৪৫, শিরোইল পুবালি মার্কেট,(২ তলা) ,বোয়ালিয়া ,রাজশাহী।
ফোন নাম্বার- 01713846301
ইমেইল: agrajatrajibon@gmail.com
Copyright © 2024 Dainik Uttarbanga. All rights reserved.