• শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ১১:৪৬ পূর্বাহ্ন

মহিলা অধিদপ্তরে চাকুরি দেওয়ার নামে প্রতারণা, প্রতারকের পক্ষে হুমকি

Reporter Name / ৪৬ Time View
Update : রবিবার, ২০ অক্টোবর, ২০২৪

নিজস্ব প্রতিনিধি: রাজশাহী মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরে কর্মরত গার্ড জুলহাস উদ্দিনের বিরুদ্ধে চাকুরী দেওয়া ও ব্যবসায়ীক কাজে ২৩ লাখ টাকা নিয়ে প্রতারণার অভিযোগে আদালতে মামলা হয়েছে। মামলা নিষ্পত্তি ও আড়াই লাখ টাকা নিয়ে সমঝোতা করা প্রস্তাব দেন উক্ত দপ্তরের প্রেষণে থাকা পুলিশ পরিদর্শক রেজাউস সাদিক। অন্যথায় দেখে নিবেন বলে ভুক্তভোগী সুইটকে হুমকি প্রদান করেন। এছাড়া দপ্তরের কোয়াটারে থাকা গার্ড জুলহাসে নিকট যেতেও নিষেধ করেন তিনি।
আদালতে দায়ের করা মামলা সুত্রে জানা যায়, নগরীর দাশপুকুর এলাকার গিয়াস উদ্দিনের ছেলে সুইট উদ্দিন বাদী হয়ে মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের কর্মরত নওগাঁর রানীনগর খাজুরিয়াপাড়া এলাকার মৃত আক্কেল উদ্দিন খানের ছেলে জুলহাস উদ্দিন খানের বিরুদ্ধে দুটি পৃথক মামলা দায়ের করেন। ব্যবসায়ীক কাজে চেকের বিনিময়ে ১৭ লাখ টাকা ও চাকুরী দেওয়ার নামে ৬ লাখ টাকা নেয় জুলহাস। ভুক্তভোগী সুইট উদ্দিন মামলা করার পর একের পর এক হুমকির মুখে পড়েছেন। টাকা ফেরত দিবে মর্মে বিভিন্নভাবে হয়রানি করছেন। সর্বশেষ ২০ অক্টোবর বেলা ১১ টায় জুলহাসের স্ত্রী সুইটকে পুলিশ পরিদর্শক রেজাউস সাদিকের নিকট নিয়ে গেলে তিনি বিষয়টি আড়াই লাখ টাকা নিয়ে নিষ্পত্তি করার প্রস্তাব দেন। প্রস্তাব না মানায় তিনি মামলায় ফাসিয়ে দেওয়াসহ অফিসের আশেপাশে আসতে নিষেধ করেন। এমনকি টাকা দিবে না মর্মে সাফ জানিয়ে দেন। আদালতে মামলা করে লাভ হবে না বলেও তিনি উল্লেখ্য করেন।
ভুক্তভোগী সুইট বলেন, আমি আদালতের আশ্রয় নিয়েছি। আদালত যা রায় দিবে তা মেনে নিবো। পাওনা টাকার ডকুমেন্টস আছে আমার কাছে। এরপরও বিভিন্ন লোক মারফত পরিদর্শক রেজাউস সাদিক আমাকে ডেকে পাঠান। বাধ্য হয়ে তাঁর নিকট গেলে তিনি আড়াই লাখ টাকা নিয়ে সমঝোতা করার জন্য বলেন। অন্যথায় দেখে নিবেন তিনি। সুইট আরও বলেন, এর আগেও সহকারী পরিচালক মাহবুবা সুলতানার সঙ্গেও এবিষয়ে কথা বলা হয়েছে। তিনি সেসময় বলেন অনেক টাকা ঋণগ্রস্ত জুলহাস। বহু পাওয়াদার আসে অফিসে। বিষয়টি আপনারা আইনগতভাবে দেখেন।
এসব বিষয়ে জানতে মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের প্রেষণে থাকা পুলিশ পরিদর্শক রেজাউস সাদিক বলেন, আমি কাউকে হুমকি দেয়নি। শুধু ডেকে কথা বলে বিষয়টি জেনেছি। যেহেতু আদালতে মামলা চলছে সেহেতু মামলার মাধ্যমে বিষয়টির নিষ্পত্তি পরামর্শ দিয়েছি।
কথা বললে উক্ত দপ্তরের উপ পরিচালক (ম্যাজিস্ট্রেট) ফাবলিহা আনবার বলেন, আমি এখন ব্যস্ত আছি। পরে ফোন দেন।
জানতে চাইলে জেলা প্রশাসক (ভারপ্রাপ্ত) সরকার অসীম কুমার বলেন, বিষয়টি আমার জানা নাই। ভুক্তভোগী লিখিত অভিযোগ দিলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category