নষ্ট হয়ে গেছে লিভারের চার ভাগের তিন ভাগ আর ভালো রয়েছে মাত্র ১ ভাগ। আর এখনি যদি চিকিৎসা করাতে না পারি তাহলে আমি আর এই সুন্দর পৃথিবীতে বেঁচে থাকতে পারবোনা।
এভাবেই কথা গুলো বলছিলেন রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার কিশোরপুর গ্রামের অনার্স পড়ুয়া শিক্ষার্থী আইরিন খাতুন। তিন বছর আগে মারা যান বাবা। পরের বাসায় কাজ করে সংসার চালান মা। চিকিৎসা দূরের কথা দুবেলা খাবার যোগাতে হিমশিম খাচ্ছেন তারা।
তাই পৃথিবীতে সুস্থ্যভাবে বেঁচে থাকতে সবার সহোযোগিতা চান অসহায় এই শিক্ষার্থী । পড়া লেখা শেষ করে নিজের পায়ে দ্বাড়ানোর স্বপ্ন দু‘চোখ জুরে। কিন্তু এরই মধ্যে মরণব্যাধী লিভার নষ্ট হয়ে যাওয়ায় সব সপ্ন শেষ তার।
অসুস্থ আইরিন জানান,গত দুই মাস আগে জানতে পারেন তার লিভার নষ্টের কথা। চিকিৎসকরা ভারতে নিয়ে দ্রুত চিকিৎসা করার পরামর্শ দিলেও অর্থ না থাকায় বাঁচার শেষ সপ্নটাও হারিয়ে ফেলেছেন তিনি। শারীরিকভাবে চরম অসুস্থ্যতায় ভেঙ্গে পরলেও অর্থাভাবে চিকিৎসা করাতে পারছেন না। টাকার জন্য বিভিন্ন জায়গায় ধরনা দিলেও কেউ কোন সাহায্য করছেন না তাকে।
স্থানীয়রা জানান, আইরিন একজন অসহায় মেয়ে। তার বাব নেই। তিন বছর আগে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যান। মা অন্যর বাসায় কাজ করে সংসার চালান। সে মাত্র দুমাস আগে জানতে পারে তার লিভার নষ্ট হয়ে গেছে। ফলে চোখের সামনেই ধীরে ধীরে নি:স্বেষ হয়ে যাচ্ছে তরতাজা একটি প্রাণ । তাই আইরিনের সু-চিকি’সার জন্য সবার কাছে আর্থিক সহায়তা চান এলাকাবাসী।