• শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:২২ পূর্বাহ্ন

সংবাদ প্রকাশের পরেও রাজশাহী সড়ক বিভাগে এখনো বহাল দূর্নীতিবাজ প্রকৌশলী হাকিম

রাজশাহী ব্যুরো / ৩৩ Time View
Update : সোমবার, ৭ অক্টোবর, ২০২৪

নিজস্ব প্রতিনিধি:৫ আগস্ট ফ্যাসিবাদের পতনের পরও আজ অবদি বিভিন্ন দপ্তরে তাঁদের দোসরা এখনো রয়েছেন বহালতবিয়তে।বিভিন্ন সময়ে তাঁদের বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের সংবাদ প্রকাশ হলেও আ’লীগ পন্থী প্রকৌশলী হওয়ায় তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়নি তৎকালীন সরকার। রাজশাহী সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল হাকিমের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম ও দূর্নীতির পাহাড় পরিমান অভিযোগে সংবাদ প্রকাশ হলেও তিনি এখনো স্বপদে বহাল আছেন। আওয়ামী লীগ পন্থী প্রকৌশলী আব্দুল হাকিম তাঁর দলীয় কিছু ঠিকাদার মারফত শত কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন বলেও সংবাদ প্রকাশ হয়েছে। সম্প্রতি কিছু সুবিধাবাদী ছত্রছায়ায় পূর্বের ন্যায় কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ আ’লীগ ছাড়া ভিন্ন মতাদর্শে কোনো ঠিকাদারকে তিনি সড়ক বিভাগে ঢুকতে দেননি। সড়কের সকল কাজই করেছেন আ’লীগ পন্থী ঠিকাদাররা। নিম্নমানের কাজ ও কমিশন বানিজ্য করে ঠিকাদার ও প্রকৌশলী হাতিয়ে নিছেন কোটি কোটি টাকা।

রাজশাহী সড়ক বিভাগের নানা অনিয়ম আর দুর্নীতির কথা উল্লেখ করে তৎকালীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক ও সেতু মন্ত্রী ওবাইদুল কাদেরের নিকট লিখিত অভিযোগ দায়ের হলেও ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি সাবেক ওই মন্ত্রী। কমিশনের টাকা মন্ত্রী থেকে সকল পর্যায়ের কর্মকর্তা ভাগ পেয়েছে বলেই কোনো তদন্ত বা ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল হাকিমের এ পর্যন্ত যত কাজ করেছেন তাঁর থেকে ২০% কমিশন নিয়েছেন বলে অভিযোগ খোদ ঠিকাদারদের। পদে পদে কমিশন দেওয়ায় হয়েছে নিম্নমানের কাজ, চলেছে লুটপাট। প্রতিটি কাজে ২০% কমিশন নিয়ে ইতোমধ্যে শত কোটি টাকা মালিক হয়েছেন তিনি। তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া আহ্বান করেছেন বঞ্চিত অনেক ঠিকাদার। সংবাদ প্রকাশ হলেই সুবিধা ভোগী ঠিকাদার মারুফ ও পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের কতিপয় ছাত্র পরিচয়ে সাংবাদিকদের ফোন করিয়ে হুমকি দেন প্রকৌশলী হাকিম। মারুফ নামে ঠিকাদার কাজের সততা স্বীকার পূর্বক প্রকৌশলীর গুণকীর্তন করে প্রতিবেদককে জানায় সেখানকার সব কাজ তিনি করেন। অন্যান্য কাজগুলো ভাগ করে বন্ঠন করেন। স্যার খুব ভালো মানুষ তিনি কোনো ঘুষ খান না। নাম প্রকাশ না করা শর্তে একজন ঠিকাদার বলেন,মহাসড়কে হওয়া প্রতিটি কাজ রি-টেন্ডার করে একই কাজে বিল বৃদ্ধি করা হয়েছে। কাজগুলো এতোটাই নিম্নমানের করা হয়েছে ইতোমধ্যে প্রতিটি রাস্তার ফাটল ও ভাঙ্গন ধরেছে। সরকারি টাকা লুটপাট করে আব্দুল হাকিম গ্রামে ও ঢাকায় গড়েছে বাড়ি গাড়ি। তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া অত্যান্ত জরুরি।

এসব বিষয়ে কথা বলতে একাধিকবার ফোন দিয়ে রাজশাহী সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল হাকিমকে ফোনে পাওয়া যায়নি। পরে তাঁকে ম্যাসেঞ্জারে ক্ষুদে বার্তা দিলেও তিনি ফোন ব্যাক করেন। এসময় তিনি বলেন আমি কোনো অনিয়ম করি না। এর আগে নিউজ হয়েছিলো তখন তো প্রশাসনের অনেকেই এসেছিলো। কিন্তু সাংবাদিকরা আসেনি। অন্যান্য অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন আমি আ’লীগ, বিএনপি, জামায়াত বুঝি না। ইজিপিতে টেন্ডার হয় যারা অংশ নেয় তাদের মধ্যেই কাজ পায়। এখানে কোনো ফেভার করার সুযোগ নাই।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category