• শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৪২ পূর্বাহ্ন

বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সদ্য যোগদানকৃত চেয়ারম্যানকে সংবর্ধনা

Reporter Name / ৪৬ Time View
Update : সোমবার, ৭ অক্টোবর, ২০২৪

নিজস্ব প্রতিনিধি:বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সদ্য যোগদানকৃত চেয়ারম্যান ড. এম আসাদুজ্জামান এর আগমন উপলক্ষে সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (০৭অক্টোবর) বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের প্রধান কার্যালয় বিএমডিএ’র আয়োজনে সদ্য যোগদানকৃত চেয়ারম্যানের আগমন উপলক্ষে সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সদ্যযোগদাকৃত চেয়ারম্যান ড.এম আসাদুজ্জামান। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিএমডিএ’র নির্বাহী পরিচালক জনাব মো শফিকুল ইসলাম (অতিরিক্ত সচিব)।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো আব্দুর রশীদ, অতিঃ প্রধান প্রকৌশলী মোঃ শামসুল হোদা, অতিঃ প্রধান প্রকৌশলী আবুল কাশেম, অতিঃ প্রধান প্রকৌশলী মোঃ জাহাঙ্গীর আলম খান, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আব্দুল লতিফ, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো: সমসের আলী তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মোঃ শরীফুল হক, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী এটিএম মাহফুজুর রহমান, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী শিবির আহমেদ, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী সুমন্ত কুমার বসাক, প্রকল্প পরিচালক রেজা মোহাম্মদ নূরে আলম বিএমডিএ সচিব এনামুল কাদির সহ বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সদর দপ্তরএর অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী, প্রকল্প পরিচালক, নির্বাহী প্রকৌশলী, ব্যবস্থাপক কৃষি, মনিটরিং অফিসার, হিসাব নিয়ন্ত্রক, উপ-পরিচালক (সেবা) ও সহকারী প্রকৌশলীবৃন্দ সকলে উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানের শুরুতে বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের যারা মৃত্যুবরন করেন তাদের সকলের উদ্দেশ্যে দোয়া করা হয়।
তার ব্যক্তিগত বিষয়ে জানা যায়, ১৯৪৯ সালের পহেলা নভেম্বর বরেন্দ্রের গোদাগাড়ীতে রন্তগর্ভা মায়ের সন্তান জন্ম নেন। বড় হয়েছেন প্রকৃতির রুক্ষতা আর বৈরীতা মোকাবেলা করে। ছোট বেলায় খুব কাছ থেকে দেখেছেন খরা পীড়িত আর দারিদ্রের কষাঘাতে নিষ্পেষিত এ অঞ্চলের মানুষগুলোকে জীবন জীবীকার তাগিদে সংগ্রাম করতে। ছেলে বেলার কৃষকের সাথে মাঠে কাজ করেছেন নিজেদের জমিতে।
১৯৭২ সাল থেকে ১৯৭৭ সাল পর্যন্ত ম্যাকডোনাল্ড এ্যান্ড র্পাটনার এর কনসালটেন্ট হিসাবে বিএডিসিতে চাকুরী করেন। প্রকল্পের চুক্তি শেষ হয়ে যাওয়ায় ১৯৭৭ সালে বিএডিসির সহকারী প্রকৌশলী হিসাবে যাত্রা শুরু। সুযোগ হয় বাংলাদেশের ভূ-গর্ভস্থ ও ভূ-উপরিস্থ সেচ ব্যবস্থাপনা নীতিমালা গভীরভাবে পর্যবেক্ষনের। দেশী বিদেশী বিশেষজ্ঞরা যখন মতামত দিয়েছিল রাজশাহীর বরেন্দ্র অঞ্চলে ভূ-গর্ভস্থ পানি তুলে সেচ প্রদান সম্ভব নয়। এমন মতামতের বিপক্ষে বিষয়টাকে চ্যালেঞ্জ হিসাবে নেন। পুরো বরেন্দ্র এলাকা ঘুরে কারিগরি তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বিশেষজ্ঞদের উপস্থাপন করে দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। ১৯৮২-৮৩ সালে কারিগরি তথ্য সমৃদ্ধ রিপোর্ট তৈরি করে সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। এরপর পক্ষে বিপক্ষে মতামত সুপারিশ আর তৎকালীন বিএডিসির কর্মকর্তাদের নিয়ে সিদ্ধান্ত হয় ডিপ-টিউবওয়েল বসানোর। ১৯৮৬ সালে প্রজেক্টের উন্নয়নমূলক কাজে ভূমিকা রাখার জন্য তাকে নির্বাহী প্রকৌশলী হিসাবে পদোন্নতি দেয়া হয়। শুরু হয় বরেন্দ্র কর্তৃপক্ষের কর্মযজ্ঞ। আসে একের পর এক সফলতা। ঠা ঠা বরেন্দ্র হিসাবে পরিচিত এক ফসলের জায়গায় তিন ফসল উৎপন্ন হয়। সবুজে ভরে যায় চারিদিক। বৃহত্তর রাজশাহী থেকে রংপুর জেলা পর্যন্ত পুরো উত্তরাঞ্চল-জুড়ে চলে বরেন্দ্র প্রকল্পের কর্মকান্ড বিস্তৃত হয়। বরেন্দ্রের প্রান পুরুষ খ্যাত আসাদুজ্জামান চেয়ারম্যান হিসাবে আসার খবরে উল্লসিত বরেন্দ্রের সাধারণ মানুষ। আসাদুজ্জামান এর বড় ভাই বিএনপির প্রয়াত ভাইস চেয়ারম্যান সাবেক ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী ব্যারিস্টার আমিনুল হক, আরেক ভাই সাবেক সেনা কর্মকর্তা আরেক ভাই পুলিশের সাবেক বড় কর্তা। ছোট ভাই ডাক্তার। এ কারনেই তার মাতা রত্নগর্ভা হিসাবে ভূষিত হয়েছিলেন।
বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সদ্য যোগদানকৃত চেয়ারম্যান ড.এম আসাদুজ্জামান এর আগমন উপলক্ষে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আলোচনা শেষে বিএমডিএর সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পক্ষে থেকে ক্রেস্ট তুলেদেন প্রধান অতিথির হাতে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category